Monday, November 17, 2025

Network Administrator Interview Q&A in Bangla

 *  OSI মডেলের ৭টা লেয়ার কী কী এবং কাজ কী?

1. Physical Layer

             কাজ: ডেটাকে বিট আকারে (01) ফিজিক্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠানো।

             উদাহরণ: কেবল (Ethernet, Fiber), ওয়্যারলেস সিগন্যাল, ভোল্টেজ লেভেল।

             মূল দায়িত্ব: সিগন্যাল ট্রান্সমিশন, হার্ডওয়্যার কানেকশন।

 

2. Data Link Layer

             কাজ: বিটগুলোকে ফ্রেমে রূপান্তর করে, লোকাল নেটওয়ার্কে ডেলিভারি নিশ্চিত করা।

             উদাহরণ: MAC অ্যাড্রেস, Ethernet, Wi-Fi

             মূল দায়িত্ব: এরর ডিটেকশন/করেকশন, ফ্রেমিং, ফ্লো কন্ট্রোল।

 

3. Network Layer

             কাজ: ডেটাকে প্যাকেটে ভাগ করে এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে পাঠানো।

             উদাহরণ: IP অ্যাড্রেস, রাউটার।

             মূল দায়িত্ব: রাউটিং, লজিক্যাল অ্যাড্রেসিং, প্যাকেট ফরওয়ার্ডিং।

 

4. Transport Layer

             কাজ: ডেটাকে সেগমেন্টে ভাগ করা, নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করা।

             উদাহরণ: TCP (নির্ভরযোগ্য), UDP (দ্রুত কিন্তু কম নির্ভরযোগ্য)

             মূল দায়িত্ব: ফ্লো কন্ট্রোল, এরর রিকভারি, এন্ড-টু-এন্ড কানেকশন।

 

5. Session Layer

             কাজ: দুই ডিভাইসের মধ্যে সেশন তৈরি, মেইনটেইন ও টার্মিনেট করা।

             উদাহরণ: লগইন সেশন, ভিডিও কল সেশন।

             মূল দায়িত্ব: সেশন ম্যানেজমেন্ট, সিঙ্ক্রোনাইজেশন।

 

6. Presentation Layer

             কাজ: ডেটাকে ইউজার-ফ্রেন্ডলি ফরম্যাটে রূপান্তর করা ।

             উদাহরণ: এনক্রিপশন (SSL/TLS), কম্প্রেশন (JPEG, MP3), ফরম্যাট কনভার্সন (ASCII Unicode)

             মূল দায়িত্ব: ডেটা ট্রান্সলেশন, এনক্রিপশন/ডিক্রিপশন।

 

7. Application Layer

             কাজ: ইউজারের সাথে সরাসরি ইন্টারঅ্যাকশন ।

             উদাহরণ: ওয়েব ব্রাউজার (HTTP/HTTPS), ইমেইল (SMTP), ফাইল ট্রান্সফার (FTP)

             মূল দায়িত্ব: ইউজার সার্ভিস প্রদান, অ্যাপ্লিকেশন প্রোটোকল।

 

·         * TCP আর UDP এর প্রধান পার্থক্য কী?

                TCP (Transmission Control Protocol):

             Connection-oriented (কানেকশন তৈরি করে তারপর ডেটা পাঠায়)

             Reliable (ডেটা পৌঁছেছে কিনা চেক করে, হারালে আবার পাঠায়)

             Sequencing (ডেটা সঠিক ক্রমে পৌঁছায়)

             Error recovery flow control আছে

             তুলনামূলক ধীর কারণ ওভারহেড বেশি

             ব্যবহার: ওয়েব ব্রাউজিং (HTTP/HTTPS), ইমেইল (SMTP), ফাইল ট্রান্সফার (FTP)

 

                UDP (User Datagram Protocol):

             Connectionless (কোনো কানেকশন তৈরি করে না, সরাসরি ডেটা পাঠায়)

             Unreliable (ডেটা পৌঁছেছে কিনা চেক করে না, হারালে পুনরায় পাঠায় না)

             Sequencing নেই (ডেটা ক্রম গ্যারান্টি নেই)

             Error recovery বা flow control নেই

             খুব দ্রুত কারণ ওভারহেড কম

             ব্যবহার: ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং, VoIP কল

·       * Subnetting কীভাবে কাজ করে — সহজভাবে বলুন।

                Subnetting:

             বড় নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করার প্রক্রিয়া।

             প্রতিটি ভাগকে বলে Subnet

             নেটওয়ার্ক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ হয় এবং ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়।

             প্রতিটি Subnet-এর আলাদা Network ID থাকে।

                Broadcast Domain:

             Broadcast Domain হলো সেই সীমা যেখানে একটি ব্রডকাস্ট মেসেজ পৌঁছাতে পারে।

             একই Subnet-এর সব ডিভাইস একই Broadcast Domain-এ থাকে।

             Subnetting করলে প্রতিটি Subnet আলাদা Broadcast Domain তৈরি করে।

             এতে ব্রডকাস্ট ট্রাফিক সীমাবদ্ধ থাকে এবং নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স বাড়ে।

                উদাহরণ:

             192.168.1.0/24 নেটওয়ার্কে 256 IP আছে।

             এটাকে যদি ৪টা Subnet (/26) এ ভাগ করা হয়, প্রতিটি Subnet64 IP থাকবে।

             প্রতিটি Subnet হবে আলাদা Broadcast Domain

             Subnet 1 192.168.1.0 – 192.168.1.63 (Broadcast: 192.168.1.63)

             Subnet 2 192.168.1.64 – 192.168.1.127 (Broadcast: 192.168.1.127)

             Subnet 3 192.168.1.128 – 192.168.1.191 (Broadcast: 192.168.1.191)

             Subnet 4 192.168.1.192 – 192.168.1.255 (Broadcast: 192.168.1.255)
Subnetting,
বড় নেটওয়ার্ককে তথা ব্রডকাস্ট ডোমেইন কে ছোট অংশে ভাগ করা

 

·         * ARP কী; কখন ব্যবহার হয়?

                ARP কী:

             একটি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল যা IP Address কে MAC Address-এ রূপান্তর করে।

             কাজ করে Network Layer (IP) আর Data Link Layer (MAC)-এর মধ্যে।

                কেন দরকার:

             কম্পিউটার বা অ্যাপ্লিকেশন IP Address দিয়ে যোগাযোগ করে।

             আসল ডেটা ট্রান্সমিশন হয় MAC Address দিয়ে।

             তাই IP MAC রূপান্তরের জন্য ARP লাগে।

                কখন ব্যবহার হয়:

             যখন একটি ডিভাইস একই LAN-এ অন্য ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ করতে চায়।

             ডিভাইস IP জানে কিন্তু MAC জানে না।

             তখন ARP Request পাঠায় “এই IP কার কাছে আছে?”

             সেই ডিভাইস ARP Reply দেয় “এই IP আমার, MAC হলো …”

                প্রক্রিয়া:

             ARP Request: ব্রডকাস্ট করে পুরো LAN-এ পাঠানো হয়।

             ARP Reply: নির্দিষ্ট ডিভাইস ইউনিকাস্ট করে MAC Address জানায়।

                উদাহরণ:

             আপনার PC IP-তে ডেটা পাঠাতে চায়।

             PC প্রথমে ARP Request পাঠায়।

              ডিভাইস তার MAC Address দিয়ে উত্তর দেয়।

             এখন PC MAC Address পেয়ে ডেটা পাঠাতে পারে
ARP (Address Resolution Protocol) IP
ঠিকানা থেকে ঐ ডিভাইসের MAC ঠিকানা খুঁজে পায়। লোকাল ল্যান-এ যখন IP দিয়ে কমিউনিকেশন হবে তখন ARP কাজ করে

 

·        * IPv4 আর IPv6 তে প্রধান পার্থক্যগুলো কী?

                অ্যাড্রেস দৈর্ঘ্য:

             IPv4 32-bit (প্রায় 4.3 বিলিয়ন অ্যাড্রেস)

             IPv6 128-bit (প্রায় 3.4×10³ অ্যাড্রেস, কার্যত সীমাহীন)

                অ্যাড্রেস ফরম্যাট:

             IPv4 ডট-ডেসিমাল (যেমন 192.168.1.1)

             IPv6 হেক্সাডেসিমাল, কোলন দিয়ে আলাদা (যেমন 2001:0db8:85a3::8a2e:0370:7334)

                হেডার সাইজ:

             IPv4 20–60 bytes, জটিল

             IPv6 40 bytes, সহজ ও কার্যকর

                কনফিগারেশন:

             IPv4 ম্যানুয়াল বা DHCP দিয়ে কনফিগার করতে হয়

             IPv6 Auto-configuration (Stateless Address Autoconfiguration) সাপোর্ট করে

                সিকিউরিটি:

             IPv4 IPSec optional

             IPv6 IPSec mandatory (বিল্ট-ইন সিকিউরিটি)

                ব্রডকাস্ট:

             IPv4 Broadcast আছে

             IPv6 Broadcast নেই, Multicast Anycast ব্যবহার করে

                NAT (Network Address Translation):

             IPv4 NAT দরকার কারণ অ্যাড্রেস সীমিত

             IPv6 NAT দরকার নেই কারণ অ্যাড্রেস প্রচুর

                QoS (Quality of Service):

             IPv4 সীমিত সাপোর্ট

             IPv6 উন্নত QoS সাপোর্ট (Flow Label field)

                ডিপ্লয়মেন্ট:

             IPv4 পুরনো, এখনও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত

             IPv6 নতুন, ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হচ্ছে

·         *NAT কি; SNAT, DNAT, PAT কীভাবে আলাদা?

                NAT (Network Address Translation):

             NAT হলো IP modification — অর্থাৎ Source বা Destination IP পরিবর্তন করে Private Public যোগাযোগ সম্ভব করে।

             মূল উদ্দেশ্য: IPv4 অ্যাড্রেস সংরক্ষণ, সিকিউরিটি বাড়ানো, এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা।

 

                SNAT (Source NAT):

             Source IP পরিবর্তন হয়।

             Private IP Public IP তে রূপান্তর হয়।

             উদাহরণ: আপনার PC (192.168.1.10) ইন্টারনেটে গেলে রাউটার সেটিকে Public IP দিয়ে পাঠায়।

                DNAT (Destination NAT):

             Destination IP পরিবর্তন হয়।

             বাইরের ইউজার যখন Public IP-তে কানেক্ট করে, সেটি Private IP-তে ফরওয়ার্ড হয়।

             উদাহরণ: কেউ 203.76.200.5:80 এ কানেক্ট করলে রাউটার সেটিকে আপনার ওয়েব সার্ভার (192.168.1.100:80)-এ পাঠায়।

                PAT (Port Address Translation):

             একে NAT Overload-ও বলা হয়।

             একাধিক Private IP একই Public IP ব্যবহার করে, কিন্তু আলাদা Port দিয়ে আলাদা করা হয়।

                উদাহরণ:

             192.168.1.10:1025 203.76.200.5:30001

             192.168.1.11:1026 203.76.200.5:30002

 

·         * DHCP কীভাবে কাজ করে; প্রধান মেসেজগুলো কোনগুলো?

                DHCP কী:

             একটি প্রোটোকল যা ক্লায়েন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে IP Address, Subnet Mask, Gateway, DNS ইত্যাদি প্রদান করে।

             এতে ম্যানুয়ালি IP কনফিগার করার দরকার হয় না।

                DHCP কীভাবে কাজ করে:

             নতুন ডিভাইস নেটওয়ার্কে কানেক্ট হলে DHCP সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে।

             সার্ভার থেকে IP এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক সেটিংস পেয়ে ডিভাইস নেটওয়ার্কে কাজ শুরু করে।

                DHCP-এর প্রধান মেসেজগুলো:

             DHCP Discover: ক্লায়েন্ট ব্রডকাস্ট করে DHCP সার্ভার খুঁজে “আমাকে IP দাও।”

             DHCP Offer: সার্ভার উত্তর দেয় “এই IP তোমার জন্য অফার করছি।”

             DHCP Request: ক্লায়েন্ট বলে “আমি এই অফার করা IP নিতে চাই।”

             DHCP ACK (Acknowledgement): সার্ভার নিশ্চিত করে “ঠিক আছে, এই IP এখন তোমার।”

                সহজ উদাহরণ:

             একটি নতুন PC নেটওয়ার্কে কানেক্ট হলো।

             PC DHCP Discover পাঠালো।

             সার্ভার DHCP Offer দিলো (যেমন 192.168.1.50)

             PC DHCP Request পাঠালো সেই IP-এর জন্য।

             সার্ভার DHCP ACK দিলো এখন PC-এর IP হলো 192.168.1.50

 

·        *  DNS কী; DNS কীভাবে নাম রেজলভ করে; A, AAAA, CNAME কাজ কী?

                DNS কী:

             DNS হলো ইন্টারনেটের ফোনবুক।

             এটি ডোমেইন নামকে IP Address-এ রূপান্তর করে।

             মানুষ সহজে নাম মনে রাখে (www.example.com), কিন্তু কম্পিউটার যোগাযোগ করে IP দিয়ে।

                DNS কীভাবে কাজ করে:

             ইউজার ব্রাউজারে একটি ডোমেইন নাম লিখে।

             প্রথমে লোকাল Cache চেক হয়।

             না পেলে DNS Resolver সার্ভারে কুয়েরি যায়।

             Resolver Root Server TLD Server (.com, .org ইত্যাদি) Authoritative Server এ ধাপে ধাপে কুয়েরি হয়।

             Authoritative Server আসল IP Address দেয়।

             Resolver সেই IP ক্লায়েন্টকে দেয়, এবং ব্রাউজার সেই IP দিয়ে ওয়েবসাইটে কানেক্ট করে।

                DNS Record-এর কাজ:

             A Record: ডোমেইন নামকে IPv4 Address-এ ম্যাপ করে।

             AAAA Record: ডোমেইন নামকে IPv6 Address-এ ম্যাপ করে।

             CNAME Record: একটি ডোমেইন নামকে অন্য ডোমেইন নামের সাথে এলিয়াস করে।

                সহজ উদাহরণ:

               DNS Resolver Authoritative Server IP Address (যেমন 192.168.1.10 বা IPv6 2001:db8::1)

             ব্রাউজার সেই IP ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে কানেক্ট করে।

Network Administrator Interview Q&A in Bangla

 *    OSI মডেলের ৭টা লেয়ার কী কী এবং কাজ কী ? 1. Physical Layer •              কাজ: ডেটাকে বিট আকারে ( 0 ও 1) ফিজিক্যাল মিডিয়ার মাধ্য...