* OSI মডেলের ৭টা লেয়ার কী কী এবং কাজ কী?
• কাজ: ডেটাকে বিট আকারে (0 ও 1) ফিজিক্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠানো।
• উদাহরণ: কেবল (Ethernet, Fiber), ওয়্যারলেস সিগন্যাল, ভোল্টেজ লেভেল।
• মূল দায়িত্ব: সিগন্যাল ট্রান্সমিশন, হার্ডওয়্যার কানেকশন।
• কাজ: বিটগুলোকে ফ্রেমে রূপান্তর করে, লোকাল নেটওয়ার্কে ডেলিভারি নিশ্চিত করা।
• উদাহরণ: MAC অ্যাড্রেস, Ethernet, Wi-Fi।
• মূল দায়িত্ব: এরর ডিটেকশন/করেকশন, ফ্রেমিং, ফ্লো কন্ট্রোল।
• কাজ: ডেটাকে প্যাকেটে ভাগ করে এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য
নেটওয়ার্কে পাঠানো।
• উদাহরণ: IP অ্যাড্রেস, রাউটার।
• মূল দায়িত্ব: রাউটিং, লজিক্যাল অ্যাড্রেসিং, প্যাকেট ফরওয়ার্ডিং।
• কাজ: ডেটাকে সেগমেন্টে ভাগ করা, নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করা।
• উদাহরণ: TCP (নির্ভরযোগ্য), UDP (দ্রুত কিন্তু কম নির্ভরযোগ্য) ।
• মূল দায়িত্ব: ফ্লো কন্ট্রোল, এরর রিকভারি, এন্ড-টু-এন্ড কানেকশন।
• কাজ: দুই ডিভাইসের মধ্যে সেশন তৈরি, মেইনটেইন ও টার্মিনেট করা।
• উদাহরণ: লগইন সেশন, ভিডিও কল সেশন।
• মূল দায়িত্ব: সেশন ম্যানেজমেন্ট, সিঙ্ক্রোনাইজেশন।
• কাজ: ডেটাকে ইউজার-ফ্রেন্ডলি ফরম্যাটে রূপান্তর করা ।
• উদাহরণ: এনক্রিপশন (SSL/TLS), কম্প্রেশন (JPEG, MP3), ফরম্যাট কনভার্সন (ASCII ↔ Unicode) ।
• মূল দায়িত্ব: ডেটা ট্রান্সলেশন, এনক্রিপশন/ডিক্রিপশন।
• কাজ: ইউজারের সাথে সরাসরি ইন্টারঅ্যাকশন ।
• উদাহরণ: ওয়েব ব্রাউজার (HTTP/HTTPS), ইমেইল (SMTP), ফাইল ট্রান্সফার (FTP) ।
• মূল দায়িত্ব: ইউজার সার্ভিস প্রদান, অ্যাপ্লিকেশন প্রোটোকল।
· * TCP আর UDP এর প্রধান পার্থক্য কী?
TCP (Transmission Control
Protocol):
• Connection-oriented
(কানেকশন তৈরি করে তারপর ডেটা পাঠায়)
• Reliable
(ডেটা পৌঁছেছে কিনা চেক করে, হারালে আবার পাঠায়)
• Sequencing
(ডেটা সঠিক ক্রমে পৌঁছায়)
• Error
recovery ও flow
control আছে
• তুলনামূলক ধীর কারণ ওভারহেড বেশি
• ব্যবহার: ওয়েব ব্রাউজিং (HTTP/HTTPS), ইমেইল (SMTP), ফাইল ট্রান্সফার (FTP)
UDP
(User Datagram Protocol):
• Connectionless
(কোনো কানেকশন তৈরি করে না, সরাসরি ডেটা পাঠায়)
• Unreliable
(ডেটা পৌঁছেছে কিনা চেক করে না, হারালে পুনরায় পাঠায় না)
• Sequencing
নেই (ডেটা ক্রম গ্যারান্টি নেই)
• Error
recovery বা flow
control নেই
• খুব দ্রুত কারণ ওভারহেড কম
• ব্যবহার: ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিং, VoIP কল
· *
Subnetting কীভাবে কাজ করে — সহজভাবে বলুন।
Subnetting:
• বড় নেটওয়ার্ককে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করার প্রক্রিয়া।
• প্রতিটি ভাগকে বলে Subnet।
• নেটওয়ার্ক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ হয় এবং ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়।
• প্রতিটি Subnet-এর আলাদা Network ID থাকে।
Broadcast
Domain:
• Broadcast
Domain হলো সেই সীমা যেখানে
একটি ব্রডকাস্ট মেসেজ পৌঁছাতে পারে।
• একই Subnet-এর সব ডিভাইস একই Broadcast Domain-এ থাকে।
• Subnetting
করলে প্রতিটি Subnet আলাদা Broadcast Domain তৈরি করে।
• এতে ব্রডকাস্ট ট্রাফিক সীমাবদ্ধ থাকে এবং নেটওয়ার্ক
পারফরম্যান্স বাড়ে।
উদাহরণ:
• 192.168.1.0/24 নেটওয়ার্কে 256 IP আছে।
• এটাকে যদি ৪টা Subnet (/26) এ ভাগ করা হয়, প্রতিটি Subnetে 64 IP থাকবে।
• প্রতিটি Subnet হবে আলাদা Broadcast Domain।
• Subnet
1 →
192.168.1.0 – 192.168.1.63 (Broadcast: 192.168.1.63)
• Subnet
2 →
192.168.1.64 – 192.168.1.127 (Broadcast: 192.168.1.127)
• Subnet
3 →
192.168.1.128 – 192.168.1.191 (Broadcast: 192.168.1.191)
• Subnet
4 →
192.168.1.192 – 192.168.1.255 (Broadcast: 192.168.1.255)
Subnetting, বড় নেটওয়ার্ককে তথা
ব্রডকাস্ট ডোমেইন কে ছোট অংশে ভাগ করা।
· * ARP কী; কখন ব্যবহার হয়?
ARP
কী:
• একটি নেটওয়ার্ক প্রোটোকল যা IP Address কে MAC Address-এ রূপান্তর করে।
• কাজ করে Network Layer (IP) আর Data Link Layer (MAC)-এর মধ্যে।
কেন দরকার:
• কম্পিউটার বা অ্যাপ্লিকেশন IP Address দিয়ে যোগাযোগ করে।
• আসল ডেটা ট্রান্সমিশন হয় MAC Address দিয়ে।
• তাই IP →
MAC রূপান্তরের জন্য ARP
লাগে।
কখন ব্যবহার হয়:
• যখন একটি ডিভাইস একই LAN-এ অন্য ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ করতে চায়।
• ডিভাইস IP জানে কিন্তু MAC জানে না।
• তখন ARP Request পাঠায় → “এই IP কার কাছে আছে?”
• সেই ডিভাইস ARP Reply দেয় → “এই IP আমার, MAC হলো …”
প্রক্রিয়া:
• ARP
Request: ব্রডকাস্ট করে পুরো LAN-এ পাঠানো হয়।
• ARP
Reply: নির্দিষ্ট ডিভাইস
ইউনিকাস্ট করে MAC Address জানায়।
উদাহরণ:
• আপনার PC IP-তে ডেটা পাঠাতে চায়।
• PC
প্রথমে ARP Request পাঠায়।
• ডিভাইস তার MAC
Address দিয়ে উত্তর দেয়।
• এখন PC MAC Address পেয়ে ডেটা পাঠাতে পারে
ARP (Address Resolution Protocol) IP ঠিকানা থেকে ঐ ডিভাইসের MAC ঠিকানা খুঁজে পায়। লোকাল ল্যান-এ যখন IP দিয়ে কমিউনিকেশন হবে তখন ARP কাজ করে।
· * IPv4 আর IPv6 তে প্রধান পার্থক্যগুলো কী?
অ্যাড্রেস দৈর্ঘ্য:
• IPv4
→
32-bit (প্রায় 4.3 বিলিয়ন অ্যাড্রেস)
• IPv6
→
128-bit (প্রায় 3.4×10³⁸ অ্যাড্রেস, কার্যত
সীমাহীন)
অ্যাড্রেস ফরম্যাট:
• IPv4
→ ডট-ডেসিমাল (যেমন 192.168.1.1)
• IPv6
→ হেক্সাডেসিমাল, কোলন দিয়ে আলাদা (যেমন 2001:0db8:85a3::8a2e:0370:7334)
হেডার সাইজ:
• IPv4
→
20–60 bytes, জটিল
• IPv6
→ 40
bytes, সহজ ও কার্যকর
কনফিগারেশন:
• IPv4
→ ম্যানুয়াল বা DHCP দিয়ে কনফিগার করতে হয়
• IPv6
→
Auto-configuration (Stateless Address Autoconfiguration) সাপোর্ট করে
সিকিউরিটি:
• IPv4
→
IPSec optional
• IPv6
→
IPSec mandatory (বিল্ট-ইন সিকিউরিটি)
ব্রডকাস্ট:
• IPv4
→
Broadcast আছে
• IPv6
→
Broadcast নেই,
Multicast ও Anycast
ব্যবহার করে
NAT (Network Address
Translation):
• IPv4
→
NAT দরকার কারণ অ্যাড্রেস সীমিত
• IPv6
→
NAT দরকার নেই কারণ অ্যাড্রেস প্রচুর
QoS (Quality of Service):
• IPv4
→ সীমিত সাপোর্ট
• IPv6
→ উন্নত QoS সাপোর্ট (Flow Label field)
ডিপ্লয়মেন্ট:
• IPv4
→ পুরনো, এখনও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত
• IPv6
→ নতুন, ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হচ্ছে
· *NAT কি; SNAT, DNAT, PAT কীভাবে আলাদা?
NAT (Network Address
Translation):
• NAT
হলো IP modification — অর্থাৎ Source বা Destination IP পরিবর্তন করে Private ↔
Public যোগাযোগ সম্ভব করে।
• মূল উদ্দেশ্য: IPv4 অ্যাড্রেস সংরক্ষণ, সিকিউরিটি বাড়ানো, এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা।
SNAT (Source NAT):
• Source
IP পরিবর্তন হয়।
• Private
IP →
Public IP তে রূপান্তর হয়।
• উদাহরণ: আপনার
PC
(192.168.1.10) ইন্টারনেটে গেলে রাউটার
সেটিকে Public
IP দিয়ে পাঠায়।
DNAT (Destination NAT):
• Destination
IP পরিবর্তন হয়।
• বাইরের ইউজার যখন Public IP-তে কানেক্ট করে, সেটি Private IP-তে ফরওয়ার্ড হয়।
• উদাহরণ: কেউ 203.76.200.5:80 এ কানেক্ট করলে রাউটার সেটিকে আপনার ওয়েব সার্ভার (192.168.1.100:80)-এ পাঠায়।
PAT (Port Address
Translation):
• একে NAT Overload-ও বলা হয়।
• একাধিক Private IP একই Public IP ব্যবহার করে, কিন্তু আলাদা Port দিয়ে আলাদা করা হয়।
উদাহরণ:
• 192.168.1.10:1025
→
203.76.200.5:30001
• 192.168.1.11:1026
→
203.76.200.5:30002
· * DHCP কীভাবে কাজ করে; প্রধান মেসেজগুলো কোনগুলো?
DHCP কী:
• একটি প্রোটোকল যা ক্লায়েন্টকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে IP
Address, Subnet Mask, Gateway, DNS ইত্যাদি
প্রদান করে।
• এতে ম্যানুয়ালি IP কনফিগার করার দরকার হয় না।
DHCP কীভাবে কাজ করে:
• নতুন ডিভাইস নেটওয়ার্কে কানেক্ট হলে DHCP
সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে।
• সার্ভার থেকে IP এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক সেটিংস পেয়ে ডিভাইস নেটওয়ার্কে কাজ
শুরু করে।
DHCP-এর প্রধান মেসেজগুলো:
• DHCP
Discover: ক্লায়েন্ট ব্রডকাস্ট করে
DHCP
সার্ভার খুঁজে → “আমাকে IP দাও।”
• DHCP
Offer: সার্ভার উত্তর দেয় → “এই IP তোমার জন্য অফার করছি।”
• DHCP
Request: ক্লায়েন্ট বলে → “আমি এই অফার করা IP নিতে চাই।”
• DHCP
ACK (Acknowledgement): সার্ভার
নিশ্চিত করে → “ঠিক আছে, এই IP এখন তোমার।”
সহজ উদাহরণ:
• একটি নতুন PC নেটওয়ার্কে কানেক্ট হলো।
• PC
DHCP Discover পাঠালো।
• সার্ভার DHCP Offer দিলো (যেমন 192.168.1.50) ।
• PC
DHCP Request পাঠালো সেই IP-এর জন্য।
• সার্ভার DHCP ACK দিলো → এখন PC-এর IP হলো 192.168.1.50
· * DNS কী; DNS কীভাবে নাম রেজলভ করে; A,
AAAA, CNAME কাজ কী?
DNS কী:
• DNS
হলো ইন্টারনেটের ফোনবুক।
• এটি ডোমেইন নামকে IP Address-এ রূপান্তর করে।
• মানুষ সহজে নাম মনে রাখে (www.example.com), কিন্তু কম্পিউটার যোগাযোগ করে IP দিয়ে।
DNS কীভাবে কাজ করে:
• ইউজার ব্রাউজারে একটি ডোমেইন নাম লিখে।
• প্রথমে লোকাল Cache চেক হয়।
• না পেলে DNS Resolver সার্ভারে কুয়েরি যায়।
• Resolver
→
Root Server → TLD Server (.com, .org ইত্যাদি) → Authoritative Server এ ধাপে ধাপে কুয়েরি হয়।
• Authoritative
Server আসল IP
Address দেয়।
• Resolver
সেই IP ক্লায়েন্টকে দেয়, এবং ব্রাউজার সেই IP দিয়ে ওয়েবসাইটে কানেক্ট করে।
DNS Record-এর কাজ:
• A
Record: ডোমেইন নামকে IPv4
Address-এ ম্যাপ করে।
• AAAA
Record: ডোমেইন নামকে IPv6
Address-এ ম্যাপ করে।
• CNAME
Record: একটি ডোমেইন নামকে অন্য
ডোমেইন নামের সাথে এলিয়াস করে।
সহজ উদাহরণ:
• →
DNS Resolver → Authoritative Server → IP
Address (যেমন 192.168.1.10 বা IPv6 2001:db8::1)
• ব্রাউজার সেই IP ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে কানেক্ট করে।
No comments:
Post a Comment